হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যের পেট্রোলচালিত মিশুক
প্রকাশিতঃ সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৮, ১২:৪৩ অপরাহ্ণ
মোঃ আবু সালেহ্ মুসা (ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি) – আজ হারিয়ে যাচ্ছে সেই ঐতিহ্যের পেট্রোলচালিত মিশুক। এক সময় ঠাকুরগাঁও জেলার পুরোশহরসহ প্রত্যেক উপজেলার সড়ক মহাসড়কে দাঁপিয়ে বেড়াত সেই ঐতিহ্যের মিশুক। খুচরা যাত্রী থেকে শুরু করে রিজার্ভ ভাড়াও বহন করত সেই মিশুক। আজ সেই মিশুক তেমন একটা চোখে পড়ছেনা। যারা সেই মিশুকের ড্রাইভার ছিলেন তাঁরা এখন অনেকেই আলাদা আলাদা পেশা গ্রহণ করেছে। অনেকেই বর্তমানে থ্রী হুইলার (পাগলু),অটো ,সিএনজি গাড়িও চালাচ্ছেন। বর্তমানে ঠাকুরগাওয়ের রানীশংকৈল ও হরিপুরে কয়েকটি মিশুক দেখা যায়। এই দুই উপজেলায় যে কয়েকটি মিশুক দেখা যাচ্ছে সেই মিশুকগুলো বর্তমানে সড়কে ভাড়ার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে না ,ব্যবহার করা হচ্ছে হকারি বা বিভিন্ন কোম্পানী ডিলারদের ব্যবসায়িক কাজে । যারা সেই মিশুকের পুরোনো ড্রাইভার ছিলেন তাদের কয়েকজন জানান, বর্তমানে বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি ,নতুন নতুন জ্বালানী সাশ্রয়ী ডিজেল চালিত থ্রী হুইলার (পাগলু),অটো ,সিএনজি গাড়ি আমদানি ইত্যাদি কারণে আমাদের জেলা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে সেই ঐতিহ্যের মিশুক। আকারে ছোট এই তিনচাকাওয়ালা মিশুকটি যাত্রী পরিবহনে রেখেছিল যথেষ্ট ভূমিকা ,কিন্তু আজ তেমন একটা চোখে পড়ছেনা সেই মিশুকের। যাদের বর্তমানে মিশুক আছে তাদের কয়েকজন জানায় , আমাদের এই মিশুকের প্রতি যাত্রীদের তেমন একটা আকর্ষণ নেই বললেই চলে ।
তার কারণ এই গাড়িটি আকারে ছোট এবং পরিবহনের জ্বালানি খরচও অনেক বেশি, তাই এটি ব্যবসায়িক কাজে এবং হকারির কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। বাংলাদেশ মটর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন রেজি: নং রাজ: ৮৮ রাণীশংকৈল উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রুস্তম আলী জানান, বর্তমানে আমাদের এলাকায় অর্থাৎ ঠাকুরগাঁওয়ে অনেক জ্বালানী সাশ্রয়ী যানবাহন আমদানী এবং পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণে এই মিশুকটির বিলুপ্তি ঘটেছে। এই মিশুক শুধু যাত্রীবহনও করতনা জেলায় অবস্থিত গ্রামের মফস্বল এলাকা থেকে কোনো রোগী অসুস্থ হলে সেই এলাকা থেকে যেকোনো সময় রোগী নিয়ে ছুটত শহরের বড় বড় সরকারি বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকে।
Leave a Reply